বাসে উঠলে অনেকের বমি হয় কেন?!

 বাসে উঠলে অনেকের বমি হয় কেন?!


গাড়িতে অথবা বাসে উঠলে অনেকের বমি হয়।অনেকের আবার গাড়িতে উঠলেই মাথা ঘোরে।এগুলো মূলত হয়ে থাকে ''মোশন সিকনেস'' অথবা ''ট্রাভেল সিকনেস'' এর কারণে।

মোশন সিকনেস কোনো শারীরিক সমস্যা নয়,এটি একটি মস্তিষ্কজনিত সমস‍্যা।প্রকৃতপক্ষে,মানুষের শরীর ও মস্তিষ্কের ভারসাম‍্যের তারতম্যের জন্য মানবদেহে যেসকল প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়,সেগুলোকে মোশন সিকনেস বলা হয়।গাড়িতে উঠলে বমি বমি ভাব হওয়া, মাথা ঘোরা,ক্লান্তি-অবসাধ এগুলোই মূলত মোশন সিকনেস বা ট্রাভেল সিকনেসের লক্ষণ।

আমাদের গতি- স্থিরতার ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে শরীরের অন্তঃকর্ণ।আমরা যখন বাসে চড়ি তখন অন্তঃকর্ণ মস্তিষ্কে খবর পাঠায় সে গতিশীল কিন্তু আমাদের চোখের সামনে থাকা বাসের সিট স্থির। চোখ আর অন্তঃকর্ণের এই সমন্বয়হীনতা সৃষ্টি করে মোশন সিকনেস।আর এই কারণেই তৈরি হয় বমি বমি ভাব,মাথা ঘোরা ইত্যাদি।



মোশন সিকনেস হলে যা করণীয়:

গাড়ির জানালা বরাবর সিট :

যেহেতু গাড়িতে সে সময় মস্তিষ্ক শরীরকে গতিময় বলে ধরে নেয়, তখন আপনাকেও চলমান কিছুর দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। মোশন সিকনেস যাদের হয় তাদের উচিত গাড়ির জানালা বরাবর সিট নেয়া।   

মুখরোচক কিছু খান:

গাড়িতে খারাপ লাগা শুরু হলে মুখরোচক কিছু খেতে পারেন। মিষ্টিজাতীয় খাবার গাড়িতে না খাওয়াই ভালো। অনেক ক্ষেত্রে লেবু , আদা , মিন্ট স্বাদের  চুইংগাম চিবালে সিকনেস নিয়ন্ত্রণে থাকে।

বমির ওষুধ :

ভ্রমণ যদি লম্বা সময়ের জন্য হয় তবে তন্দ্রাচ্ছন্নভাব আনার জন্য কম মাত্রার ঘুমের ওষুধ  অথবা কোনো বমির ওষুধ খেতে পারেন।  যদিও চলার পথে না ঘুমানোই উত্তম।

বই পড়া  :

গাড়িতে বই পড়া কমিয়ে আনতে পারে আনার বমির অভ্যাস।কখনোই যাত্রার আগেই বমির কথা ভাববেন না । এটি আপনাকে আরও অসুস্থ করে দেবে।


ধন‍্যবাদ সবাইকে।

No comments

Powered by Blogger.