দশটি মজাদার বৈজ্ঞানিক ফ্যাক্ট!!
দশটি মজাদার বৈজ্ঞানিক ফ্যাক্ট!!
দশটি মজাদার বৈজ্ঞানিক ফ্যাক্ট!! |
বৈচিত্র্যময় পৃথিবী,বৈচিত্র্যময় পৃথিবীতে বসবাসরত উদ্ভিদ এবং প্রাণিকূল । বৈচিত্র্যময় এই পৃথিবীতে কত কিছুই না ঘটে । চলুন জেনে নেওয়া যাক ১০টি মজাদার বৈজ্ঞানিক ফ্যাক্ট।
১)আকাশে ভাসমান মেঘের ভরঃ
আকাশে ভাসমান মেঘের ভর কত?! |
আমাদের অনেকের ধারনা মেঘ তুলোর মতো হালকা ভাসমান বস্তু, কিন্তু আসলে তা নয়। আকাশে ভেসে বেড়ানো একখন্ড সাধারন আকারের মেঘের আয়তন আমরা খালি চোখে যা দেখি , তার চেয়ে অনেক বেশি। তাই এর ভরও অনেক বেশি হয়ে থাকে। এরকম এক খণ্ড মেঘের ভর ১০০টি হাতির চেয়ে বেশি অর্থাৎ প্রায় ১০ লক্ষ পাউন্ড!
২)একাধিক মস্তিষ্কের প্রাণীঃ
যদি মস্তিষ্কই হয়ে থাকে কোনো প্রাণীর বুদ্ধিমত্তার পরিমাপক, তাহলে অক্টোপাসই সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী। কারণ এদের মস্তিষ্কের সংখ্যা নয়টি! তাছাড়াও অক্টোপাসের রয়েছে তিনটি হৃদযন্ত্র। একটি শুধুমাত্র ফুলকা বা শ্বসনযন্ত্রের জন্য, একটি আছে কেন্দ্রীয়ভাবে সবকিছুর জন্য এবং অপর একটি হৃদযন্ত্র শুধুমাত্র অক্টোপাসের পা গুলোর জন্য।
৩)নখের বৃদ্ধিঃ
![]() |
নখের বৃদ্ধি!! |
শীতের সময় অন্য কিছু বেশি বেশি করতে না চাইলেও একটি কাজ কিন্তু করতেই হয়, আর সেটা হলো আপনার নখ কাটা। কারন শীতকালে অন্যান্য ঋতুর তুলনায় নখ বেশ তাড়াতাড়িই বড় হয়।
৪)পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী জীবঃ
পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী জীব হচ্ছে ব্যাকটেরিয়া। ব্যাকটেরিয়া ক্ষুদ্র একপ্রকার অণুজীব, যাদের খালি চোখে দেখাই যায় না, আর এরাই কিনা পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী জীব! হ্যাঁ বন্ধুরা, আকার বিবেচনায় আপনি এর ক্ষমতার কথা জানলে, তখন এ কথা মানতে আপনিও বাধ্য হবেন। তাহলে জেনে রাখুন, একটি ব্যাকটেরিয়া নিজের দেহের ওজনের চেয়ে ১ লক্ষ গুণ বেশি ওজন বহন করতে সক্ষম।
৫)সবচেয়ে বেশি অক্সিজেন আসে যেখান থেকেঃ
ছোটবেলা থেকে আমরা জেনে আসছি, বেঁচে থাকার অপরিহার্য উপাদান অক্সিজেন আসে বৃক্ষ থেকে। সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় বৃক্ষের উৎপাদিত অক্সিজেনেই বেঁচে আছি আমরা। কিন্তু এবার আপনি জেনে রাখুন, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের অর্ধেক অক্সিজেন আসে সমুদ্র থেকে? হ্যাঁ বন্ধুরা, সমুদ্রে বসবাসকারী ক্ষুদ্র এককোষী সামুদ্রিক উদ্ভিদ ফাইটোপ্লাংকটনের কল্যাণে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে যে পরিমাণ অক্সিজেন বিমুক্ত হচ্ছে, তা মোট অক্সিজেনের অর্ধেক।
৬)মানবদেহে ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণঃ
৭)আলো আমাদের চোখে পৌছানোর সময়কালঃ
আমরা আমাদের চোখে যে আলো দেখি, তা সূর্য থেকে সৃষ্ট ফোটন কণার ফলশ্রুতিতেই দেখতে পাই। এই ফোটন কনাগুলো সুর্যের কেন্দ্রস্থলে উৎপাত্তি হবার পরে সুর্যের উপরি ভাগে মানে সারফেসে আসতে সময় লাগে গড়ে প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার বছর। আর সেই উপরিভাগ থেকে আমাদের পৃথিবীতে এসে আমদের চোখে আসতে সময় নেয় মাত্র ৮ মিনিট। তার মানে আমরা এখন যে আলো দেখছি এটা আরো ২ লক্ষাধিক বছর আগে সুর্যের অভ্যন্তরে তৈরি হয়েছে। আর এখন যেটা তৈরি হচ্ছে সেটা পৃথিবীর পর্যন্ত আসতে আরো দুইলক্ষ বছর অপেক্ষা করতে হবে।
৮)সমুদ্রসমূহে মোট পানির পরিমানঃ
আমাদের পৃথিবীর সবগুলো সমুদ্রে সর্বমোট ৩২ কোটি কিউবিক মাইল পানি আছে। এই পানি আমাদের পুরো পৃথিবীর ৭১ শতাংশ দখল করে রেখেছে। এখন যদি এই সবগুলো সমুদ্রের পানি শুকিয়ে ফেলা হয় তবে যে পরিমান লবন পরে থাকবে তার নিচে আমাদের ভুভাগ মানে ৭ টা মহাদেশ খুব আনায়সে ৫০০ ফিট নিচে হারিয়ে যতে পারবে। এখন আমাদের এন্টার্কটিকা যেভাবে বরফের নিচে ঢেকে আছে তখন সবকিছু এর চেয়েও গভীর লবনের চাকার নিচে ঢেকে থাকবে।
৯)মানুষের শরীরে শিরা, উপশিরার দৈর্ঘ্যঃ
একজন মানুষের শরীরে যে পরিমান শিরা,উপশিরা এবং অন্যান্য রক্তবহন কারি অংশ আছে তাদেরকে যদি একটার পরে একটা রেখে লম্বালম্বি ভাবে সাজানো যায় তবে তার দৈর্ঘ হবে ৬২ হাজার কিলোমিটার। মানে পুরো পৃথিবীরকে আড়াই বার পেচিয়ে ফেলতে পারবেন শুধু আপনার শরিরের শিরা উপশিরা দিয়ে।
No comments