"সেলফাইটিস"-সেলফি আসক্তি
"সেলফাইটিস"-সেলফি আসক্তি
![]() |
"সেলফাইটিস"-সেলফি আসক্তি |
বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির এই মহা উৎকর্ষের যুগে ''সেলফি'' শব্দটির সাথে পরিচিত নয় এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বিরল।বাচ্চা থেকে বুড়ো সবার মাঝেই ছড়িয়ে গেছে শব্দটি।মোবাইলে সেলফি তুলতে কার না ভালো লাগে? সুন্দর একটি পরিবেশে স্মার্টফোন হাতে নিয়ে শুধু একটা ক্লিক- এর পর হয়ে গেল সেলফি। হয়ে গেল আপনার আবেগঘন মুহূর্তটি মোবাইলে বন্দি।কমবেশি সেলফি আমরা সবাই তুলে থাকি।একেকটি সেলফি বহন করে অসংখ্য সুখ-দুঃখের স্মৃতি।কিন্তু এই সেলফি তোলার নেশা থেকে শুরু হয় আরেক বিপর্যয়ের।বলছিলাম সেলফাইটিস বা সেলফি রোগের কথা। বলতে গেলে সবারই এই রোগটা আছে।এই মানসিক ব্যধিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জীবনে সেলফি তোলা মাদকের মতো ভয়াবহ আসক্তি হয়ে দাড়ায়।তাহলে এবার চলুন জেনে নেয়া যাক সেলফাইটিস কি এবং কিভাবে হয়।
![]() |
সেলফাইটিস কি এবং কিভাবে হয়?! |
- বর্ডার লাইন সেলফাইটিস: এ ধাপে আক্রান্তরা দিনে অন্তত তিনটি সেলফি তুলবে এবং তা নিজের কাছেই রেখে দেবে। কোনো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করবে না।
- একিউট সেলফাইটিস:এ ধাপে আক্রান্তরা দিনে অন্তত তিনটি সেলফি তুলবে এবং তিনটি ছবিই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করবে।
- ক্রনিক সেলফাইটিস:এ ধাপে আক্রান্তরা সারাদিনে বিরামহীনভাবে যখন তখন সেলফি তুলবে এবং দিনে অন্তত ছয়টি বা এর বেশি সেলফি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করবে।
বাইশ বছর বয়স্ক জুনায়েদ আহমেদ থাকেন ইংল্যান্ডের এসেক্স কাউন্টিতে। প্রতিদিন প্রায় ২০০টি সেলফি তোলেন তিনি।
ইনস্টাগ্রামে তার ফলোয়ার বা অনুসারী আছে প্রায় ৫০ হাজার। তিনি কখন সেলফি পোস্ট করবেন সেই সময়টাও ঠিক করেন খুব ভেবে চিন্তে - যাতে যত বেশি সম্ভব 'লাইক' পাওয়া যায়।
যদি কোন সেলফি ৬০০-র কম লাইক পায় তাহলে সেটা তিনি 'ডিলিট' করেন বা মুছে দেন।
তিনি নিজেই স্বীকার করেন যে তিনি সেলফিতে আসক্ত।
জুনায়েদ আহমেদ বলেন, আমি যখন একটি সেলফি পোস্ট করি, প্রথম ২/১ মিনিটের মধ্যে আমি ১০০-র মতো লাইক পাই। আমার ফোনটার মাথা খারাপ হয়ে যায়। সে এক দারুণ ব্যাপার।
এখন সেলফির জন্য তিনি তার নিজের চেহারাও ‘আপগ্রেড’ করেছেন বা উন্নতি ঘটিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমি আমার দাঁত সাদা করিয়েছি। চিবুক, চোয়াল, ঠোঁট ও গাল ভরাট করিয়েছি। চোখ ও চুলে বটক্স লাগিয়েছি। ভ্রুতে ট্যাঁটু করিয়েছি এবং চর্বি জমা থামিয়েছি।
No comments