বাঁশ খান,সুস্থ থাকুন!!
বাঁশ খান,সুস্থ থাকুন!!
গৃহস্থালির কাজে বাঁশের রয়েছে নানাবিধ গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার।কিন্তু আপনি জানলে অবাক হবেন,এটি একটি সুস্বাদু এবং উপাদেয় খাবারও।
বাঁশ সবচেয়ে লম্বা ঘাস এবং দ্রুত বর্ধনশীল চিরহরিৎ উদ্ভিদ।সদ্য অঙ্কুরিত বাঁশের চারাকে কোড়ল বলা হয়।কোড়ল খুব নরম এবং আদ্র।হলুদ এবং সবুজের মিশ্রণে এটি দেখতেও বেশ।এতে থাকে পানি, প্রোটিন,চিনি, চর্বি, সেলুলোজ, খনিজ পদার্থ এবং বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন।
বাঁশের পুষ্টিমান:
- পানি : ৮৮% - ৯৩%
- প্রোটিন : ১.৪% - ৫%
- চিনি : ০.৭৮% - ৫.৮৬%
- চর্বি : ০.২৫% - ০.৯৫%
- সেলুলোজ : ০.৬০% - ১.৩৪
- খনিজ পদার্থ : ১.১%
এছাড়াও বাঁশে বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন থাকে।
বাংলাদেশের পাহাড়ি অধিবাসীদের একটি অতি পরিচিত এবং উপাদেয় খাদ্য বাঁশের কোড়ল।বাংলাদেশের সিলেট এবং চট্টগ্রামে বসবাসরত পাহাড়ি অধিবাসীরা প্রচুর পরিমাণ বাঁশের কোড়ল খেয়ে থাকে।বাংলাদেশের বাইরে ভারতের মেঘালয়,আসাম ও হিমাচল প্রদেশ,নেপাল,ভূটান, কোরিয়া,চীন এবং জাপানে বাঁশের কোড়ল বেশ জনপ্রিয়।
হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস:
মানবদেহে হৃদরোগের অন্যতম কারণ হলো রক্তে কোলেস্টেরলের অত্যাধিক মাত্রা। তবে নিয়মিত বাঁশের কোড়ল খেলে দেহে কোলেস্টেরলের ভারসাম্য বজায় থাকে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা:
যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভূগছেন, তারা নিজেদের খাদ্যতালিকায় বাঁশের কোড়ল অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এটি একটি কার্যকরী খাবার।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ:
কচি বাঁশ দেহে উচ্চরক্তচাপ কমিয়ে আনে। এর পাশাপাশি এটি ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায়।
এছাড়াও বাঁশ কোড়ল ডায়াবেটিস, হাঁপানী প্রভৃতি রোগ থেকে মানবদেহকে রক্ষা করে।তবে বাঁশ কোড়লের কোনো ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
ধন্যবাদ সবাইকে
No comments