কেউ গোলাপ ফিরিয়ে দিলে ফুলটা খেয়ে ফেলুন!😀
কেউ গোলাপ ফিরিয়ে দিকেউ গোলাপ ফিরিয়ে দিলে ফুলটা খেয়ে ফেলুন!
![]() |
কেউ গোলাপ ফিরিয়ে দিলে ফুলটা খেয়ে ফেলুন! |
কেউ আপনার লাল গোলাপ ফিরিয়ে দিলে ফুলটি ফেলে দেবেন না;বরং ফুলটি খেয়ে ফেলুন।মনের ব্যথা কমলেও কমতে পারে।তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক , লাল গোলাপ কি সত্যিই খাওয়া যায় কিনা?!
লাল গোলাপের পাপড়ি খাওয়া যায় ৷ গোলাপের পাপড়িতে ৯০% পানি থাকে এবং থাকে কিছু পরিমাণ ভিটামিন সি৷ এছাড়াও আগেকার দিনে চাইনিজরা হজমের সমস্যা বা বিভিন্ন ব্যাথার উপশম করতে গোলাপকে ওষুধ হিসেবে খেত৷ তাই ক্রাশ বা প্রেমিক/প্রেমিকা লাল গোলাপ ফিরিয়ে দিয়ে আপনার মন ভেঙ্গে দিলেও ফুলটা ফেলে না দিয়ে খেয়ে ফেলুন৷ মনের ব্যথা কমলেও কমতে পারে...
প্রাচীনকাল থেকেই স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্যও গোলাপের চর্চা হয়ে আসছে। বিশ্বের অনেক দেশেই গোলাপ ফুল খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। গোলাপের পাপড়ি হোক বা কুড়ি সবই খাদ্য গুণে ভরপুর। গোলাপ ফুল খাওয়ার অসংখ্য উপকারিতা রয়েছে।
গোলাপ ফুলের উপকারিতাঃ
ওজন নিয়ন্ত্রণঃ
ওজন নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে গোলাপ। গোলাপের পাপড়িতে বিদ্যমান যৌগ মেটাবলিজমকে উন্নত করে। দেহের টক্সিন দূর করে যা ওজন কমাতে খুবই কার্যকরী। এক মুঠো গোলাপ পাপড়ি সেবনে আপনাকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাদ্যগ্রহণ থেকে দূরে রাখবে।
মানসিক চাপ এবং হতাশা দূরীকরণঃ
মানসিক চাপ এবং হতাশা দূরীকরণে গোলাপ ভূমিকা রাখে। হতাশা এবং মানসিক চাপ সাধারণত আসে অনিদ্রা এবং বিশ্রামহীনতার কারণে;যা মানবমনে উদাসীনতার সৃষ্টি করে। গোলাপের পাপড়ি এবং এর নির্যাস এই ধরনের সমস্যা দূর করতে অনেক কার্যকরী। একটি গবেষণা অনুসারে যখন,গোলাপের নির্যাসের সুবাস নেয়া হয় তখন তা চরম প্রশান্তি সৃষ্টি করে।
পাইলস দূরীকরণঃ
পাইলস সমস্যা দূরীকরণে গোলাপের পাপড়ি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।কারণ হচ্ছে গোলাপের পাপড়িতে রয়েছে ফাইবার এবং পানি। এছাড়াও রয়েছে হজম শক্তি বৃদ্ধিকারক যৌগ যা দেহের টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে।
সুতরাং গোলাপ ফুল শুধুমাত্র ভালোবাসার প্রতীক নয়।মানবদেহের জন্য গোলাপ ফুল ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ।
No comments