মঙ্গলে ৯০ মিনিটের ভূমিকম্প!!(মার্সকোয়েক বা মঙ্গলের ভূমিকম্প)
মঙ্গলে ৯০ মিনিটের ভূমিকম্প!!(মার্সকোয়েক বা মঙ্গলের ভূমিকম্প)
এবার কেঁপে উঠল মঙ্গল গ্রহ।এবার মঙ্গলে প্রাণের স্পন্দন শুনল নাসার ইনসাইট ল্যান্ডার। এক মাসের মধ্যে অন্তত দু'দিন মোট তিনবার থরথর করে কেঁপে উঠল মঙ্গল গ্রহ। যার মধ্যে এক দিন মঙ্গলের বুকে দেড় ঘন্টা ধরে কম্পন চলেছিলো।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা মঙ্গল গ্রহ নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত কাজ করছে । সংস্থাটির মহাকাশ যান ইনসাইট মঙ্গল গ্রহ থেকে তিনটি বড় ভূমিকম্পের তথ্য পাঠিয়েছে। এসব ভূমিকম্প পর্যালোচনা করে মঙ্গল সম্পর্কে অনেক তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে বিজ্ঞানীরা।
নাসা জানিয়েছে, গত ২৫ আগস্ট থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মঙ্গলে হয়েছে তিনটি বড় মাপের কম্পন। এটিকে বলা হয় মার্সকোয়েক বা মঙ্গলের ভূমিকম্প। ২৫ দিনের মধ্যে মঙ্গলের বুকে প্রথম কম্পনটি নাসার ইনসাইট রোভার শুনেছিল গত ২৫ আগস্ট, যার মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ২। তার কিছু পরে সেদিনই আরও একটি কম্পন ধরা পড়ে ইনসাইটের সিসমোমিটারে, যার মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ১। ১৮ সেপ্টেম্বর মঙ্গল থরথর করে কেঁপে ওঠে আরও একটি বড় কম্পনে, যার মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ২। ইনসাইট ল্যান্ডার এর মধ্যেই মঙ্গলে ১০০০ দিন পার করেছে।
এর আগে নাসার ইনসাইট ল্যান্ডার ২০১৯ সালে মঙ্গলের বুকে কম্পনের প্রমাণ পেয়েছিল। তবে তার মাত্রা ছিল অনেক কম। নাসা জানিয়েছে, ২০১৯-এর কম্পনের যে শক্তি ছিল, গত ২৫ আগস্টের কম্পনের শক্তি ছিল তার পাঁচ গুণ। ওই দিন যে দুটি কম্পন হয়েছিল তার একটির উৎপত্তিস্থল ছিল নাসার ল্যান্ডার ইনসাইটের ৫৭৫ মাইল দূরে।
ইনসাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে মঙ্গল গ্রহ সম্পর্কে আরো অনেক নতুন নতুন তথ্য জানতে পারবেন বিজ্ঞানীরা।এসকল তথ্য নিয়ে গবেষণা করার মাধ্যমে মহাবিশ্বের আর কোথাও প্রাণের অস্তিত্ব আছে কিনা সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন মহাকাশ গবেষকেরা।
এর আগে হিমশীতল রাতে মঙ্গলে ভূমিকম্প হয়েছিলো।তবে এবারের ঘটনা সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম।গত ২৫ আগস্ট থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর এই সময়ের মাঝে যে সকল কম্পন ধরা পড়েছে সবগুলোই দিনের বেলায় সংগঠিত হওয়ার প্রমাণ মিলেছে।
২০১৮ সালে লালগ্রহে অবতরণ করেছিল ইনসাইট ল্যান্ডার। এর কাজ মঙ্গল গ্রহের অভ্যন্তরে থাকা ক্রাস্ট, ম্যান্টেল এবং কোর এরিয়া খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করা।
তথ্যসূত্রঃ
মঙ্গলে ৯০ মিনিটের ভূমিকম্প! - Somoy News
ধন্যবাদ সবাইকে...
No comments