কারা ভ্যাক্সিন নিতে পারবেন? কোন ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কতটুকু??
কারা ভ্যাক্সিন নিতে পারবেন? কোন ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কতটুকু??
গর্ভবতী মায়েরা কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন নিতে পারবেন❓
👉 গর্ভের ১৪-৩৩ সপ্তাহের মধ্যে যে কোন ধরনের কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন নেয়া যাবে।
গর্ভের শিশু কি সুরক্ষা পাবে❓
👉 ১৪-৩৩ সপ্তাহের মধ্যে ২ ডোজ ভ্যাক্সিন গ্রহণ সম্পন্ন করতে পারলে মায়ের শরীরে তৈরি হওয়া এন্টিবডি রক্তের মাধ্যমে গর্ভের শিশুর শরীরে যাবে এবং শিশু করোনাভাইরাস আক্রমণ থেকে সুরক্ষা পাবে।
মা এবং বাচ্চার কোন ক্ষতি হবে কিনা⁉️
👉 গবেষণায় (BMJ) দেখা গিয়েছে এখন পর্যন্ত যে সব দেশে গর্ভবতী মায়েরা টিকা পেয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে মায়েদের ভ্যাক্সিন পরবর্তী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (যেটা সবারই হতে পারে) ছাড়া অন্য কোনো সমস্যা হয়নি এবং বাচ্চার কোন সমস্যা হয়েছে বলেও গবেষণায় প্রমান পাওয়া যায়নি।
দুগ্ধদানকারী মা ভ্যাক্সিন নিতে পারবেন❓
👉 অবশ্যই পারবেন এবং মায়ের কাছ থেকে বুকের দুধের মাধ্যমে বাচ্চার শরীরে এন্টিবডি গিয়ে বাচ্চাকে সুরক্ষা দিবে।এতে মায়ের (ভ্যাক্সিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বাদে) এবং বাচ্চার কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নাই।
গর্ভবতী এবং দুগ্ধদানকারী মা ভ্যাক্সিন নেয়ার আগে বা পরে কোন সতর্কতা অবলম্বন করবেন কিনা❓
👉 না। তেমন কোনো সতর্কতার দরকার নাই। স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবেন।
ভ্যাক্সিন নেয়ার পরে কি ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে❓
👉 জ্বর, মাথা ব্যাথা, শরীর ব্যাথা, ক্লান্তি লাগা, ভ্যাক্সিন দেয়ার জায়গায় মাংসপেশিতে ব্যাথা বা লাল হয়ে যাওয়া। এগুলো যে কারোরই হতে পারে।
যে সব মায়েদের ডায়াবেটিস উচ্চরক্তচাপ হাঁপানী এবং কিডনি রোগ আছে তারা কি ভ্যাক্সিন নিতে পারবেন❓
👉 হ্যাঁ। তারাও নিতে পারবেন তবে ভ্যাক্সিন নেয়ার আগে এসব রোগ থাকলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে একটা নির্দিষ্ট মাত্রায় নিয়ন্ত্রণ করে তারপর ভ্যাক্সিন নিতে পারবেন। সেজন্য নিয়মিত চিকিৎসা নিতে হবে এবং ভ্যাক্সিন নেয়ার আগে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
কারা ভ্যাক্সিন নিতে পারবেন না❓
জ্বর, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী যিনি কেমোথেরাপি বা রেডিওথেরাপি পাচ্ছেন, ২ সপ্তাহের মধ্যে অন্য কোন ভ্যাক্সিন নিলে, যাদের প্রকট এলার্জির সমস্যা এবং যাদের ভ্যাক্সিনের কোনো একটি উপাদানে এলার্জি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে (আগে যদি এমন হয়ে থাকে)।
No comments